Posts

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাংলা সাহিত্যের সব্যসাচী খ্যাত লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ধরলার বাণী এর পক্ষ হতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।  ক্যান্সারে আক্রান্ত কবি নিশ্চিত মৃত্যু ভেবে জন্মভূমি ও দেশের মানুষের টানে ছুটে আসেন লন্ডন থেকে। তার ইচ্ছে ছিল চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন দেশের মাটিতে। ঠিক কয়েকদিন না যেতেই ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন তিনি। শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী জন্মের শহর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয় তাকে।  সৈয়দ শামসুল হক লিখেছিলেন, “জন্মে জন্মে বার বার কবি হয়ে ফিরে আসব এই বাংলায়” আর আমরাও বারবার বরণডালা সাজিয়ে রাখব দেশবরণ্য এই কবিকে স্বাগত জানাতে। কবি থাকবেন বাংলার মানুষের কথায় ও কবিতায়। কবি থাকবেন ছন্নছড়া মানুষের ঐক্য প্রতিষ্ঠায়। তাই তো তিনি সংকটময় মুহূর্তে দেশের হাজারো নুরুলদীনের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন “জাগো বাহে কণ্ঠে সবাই”।
আমি এক হতভাগা পাবলিক   রাজনীতির ভীরে আজ হারিয়ে যেতে বসেছি আমি। ক্ষীণ হয়ে এসেছে আমার সম্প্রদায়। হাটে-মাঠে-ঘাটে যেখানে যাই, সেখানেই দেখি সব রাজনীতিবিদ। আমি আমার মনকে প্রশ্ন করি হাজার বার। আমার আমজনতারা কোথায়? মন আমার প্রতিবার ব্যর্থ হয়ে যায় উত্তর গুলো দিতে। কোনো পেশাতেই খুঁজে পাওয়া যায় না আমজনতাকে। শুধু আমজনতা হারিয়ে যায় নি। হারিয়ে গেছে পেশাদারি স্বতঃস্ফূর্ত নেতৃত্ব। পেশাদারি নেতৃত্ব চলে কোনো না কোনো রাজনীতির ইশারা-ঈঙ্গিতে। রাজনীতির ছায়াতলে স্থান দখলের প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে আপন চরিত্রকেও হারিয়ে ফেলেন অনেকেই। আমরা এমন একটা স্তরে পৌঁছে গেছি, যেখানে কেউই সাধারন নাগরিক হয়ে বাঁচতে চাই না। সবাই সবার নেতৃত্ব দিতে চাই। প্রতিটি শ্রেণি পেশার মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে রাজকীয় নীতি। এখন আসা যাক আমি কেন একজন হতভাগা। আসলে এই কথাটি বলার অনেক কারণ আমি নিজেই খুঁজে পেয়েছি। সমাজে আমার মত যারা হতভাগা রয়েছেন তারাও কিন্তু খুঁজলে পেয়ে যাবেন। তবে আমি বিশদ বলতে গেলে অনেকেই আবার নিজেকে হতভাগা বলে দাবী করবেন। তবে এটাও বলে রাখি, সবাই হতভাগা পাবলিক নয়। অনেকেই সৌভাগ্যবান হয়েও নিজেকে হতভাগার সা

পুলিশ যখন মানবিক পুলিশ

গল্পটি লিখতাম না। কিন্তু আমার বিবেক আমাকে লিখতে বাধ্য করাচ্ছে। দুজন স্বেচ্ছাসেবক রক্ত দেয়ার জন্য রংপুরে গিয়েছিল। রক্তদান করে ফুলবাড়ী ফিরতে রাত সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে। তাদের দুজনেরই বাড়ি এখান থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে।  প্রচুর বৃষ্টির কারণে বাজার তখন একদম জনশূন্য। ছাতা না থাকায় আমিও বৃষ্টিতে আটকা পড়ে মিডিয়া সেন্টার নামক অফিস রুমটিতে একা বসে আছি। বাজার থেকে মাঝেমধ্যে গার্ডের বাঁশির আওয়াজ আসছে। এমন সময় হঠাৎ একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন। ওপাশ থেকে একজন বলছে, ভাই আমি লিখন। তখন মনে পড়লো এরা দুজন তো রংপুরে গিয়েছিল রক্ত দিতে। আমি তখনও আছি শুনে দুজনে কাকভেজা হয়ে ছুটে আসলো আমার অফিস রুমে। গামছাটা এগিয়ে দিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখি প্রচুর বেগে বৃষ্টি হচ্ছে।  বৃষ্টির বেগ কমতে রাত ১টা বেজে গেল। তাদেরকে থাকার জন্য অনেক করে বলা হলেও থাকতে নারাজ। থাকতে চাইবেই বা কি করে। আমি নিজেই তখনও বাড়ি ফেরা নিয়ে শঙ্কায়। বাইরে হালকা বৃষ্টি পড়তেছিল। বাজারের রাস্তার পাশে একটা দোকানের বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। দেখি কোনো যানবাহন পাওয়া যায় কি না। বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও কোনো যানবাহন পাওয়া গেল না।